এরআগে গতকাল রোববার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তার বাবা। ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সোমবার পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় পাঠিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী তরুণি স্থানীয় একটি মাদরাসায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গিলাবাদ গ্রামের চট্টগ্রামে কর্মরত গার্মেন্টন্স কর্মী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আয়শা বেগম তার বাড়িতে একা থাকায় রাতে ঘুমানোর জন্য প্রায়ই ওই ছাত্রীকে ডেকে নিতেন। গত ২৩ মে ওই ছাত্রী গভীর রাত ওই বাসার ছাদে প্রেমিক হেলালের (৩৫) সঙ্গে কথা বলতে যায়। বিষয়টি একই গ্রামের আ. কাদের খার ছেলে রিয়াজ খা (২২) টের পেয়ে সুপারি গাছ বেয়ে ওই বাসার ছাদে উঠে প্রেমিককে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে সে মাদরাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ওই ছাত্রীর দিনমজুর বাবা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শ্রমিকের কাজ করতে তিনি সম্প্রতি ফরিদপুরে যান। বাড়ির পাশের গার্মেন্টন্স কর্মী শহীদুলের স্ত্রী বাসায় একা থাকায় প্রায়ই তার মেয়েকে ঘুমানোর জন্য ডেকে নিতেন। মেয়ের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাড়িতে আসি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামি করে গতকাল রোববার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি আশয়া বেগমকে গ্রেফতার করে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।