ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের মামলায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিক্ষক এস এম মোর্তজা আলম লিটনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজের স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলায় গতকাল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার শিক্ষক এস এম মোর্তেজা আলম লিটন সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা কর্মকার পাড়া গ্রামের মুনসুর আলী সানার ছেলে ও সাতক্ষীরা শহরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক।
ওই ছাত্রী জানান, গত দুই মাস ধরে প্রতিদিন বিকেলে সে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে যেতেন মোর্তেজা লিটনের কাছে। প্রতিদিনের মতো গত সোমবার বিকেলে শিক্ষকের বাসায় ১২-১৩ জন সহপাঠী প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলেন। প্রাইভেট পড়ানোর শেষ পর্যায়ে ওই শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাতে কৌশলে তার খাতা দেখতে দেখতে এক ঘণ্টার বেশি সময়ক্ষেপন করেন। ততোক্ষণে তার অন্যান্য সহপাঠীরা চলে যায়। এক পর্যায়ে শিক্ষক তার কক্ষের সোফা থেকে উঠে তাকে জোর করে জাপটে ধরে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে নিপীড়নের চেষ্টা করে। এতে সে বাধা দিয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করিলে তিনি তার মুখ চেপে ধরেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান। এক পর্যায়ে সে নিজের চেষ্টায় শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে আসে। ঘটনার পর বাড়িতে এসে সে কান্নাকাটি করতে করে বিষয়টি তার মাকে জানান। বিষয়টি জানার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ঘটনা জানার পর ইতিমধ্যে ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডাকা হয়েছে। মিটিংয়ে সকলের সম্মতিক্রমে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদরের তালতলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মোর্তজা আলম লিটনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।