চট্টগ্রামে সেন্ট স্কলাসটিকাস্ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন এক অভিভাবক। মঙ্গলবার দুপুরে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন তিনি। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হচ্ছেন, মো. রকিব উদ্দিন (৩৫) ও সুরজিত পাল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুই শিক্ষক। তারাও এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।
স্কুলটির পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর মা মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেছেন, রকিব উদ্দিন চতুর্থ শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠদান করেন। সুরজিত পাল পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করেন। সেই সুবাদে দুই শিক্ষক তার মেয়ের পরিচিত। গতবছর থেকে দুই শিক্ষক তার মেয়েকে স্কুলের ষষ্ঠ তলার বাথরুমের পাশে নিয়ে গিয়ে শরীরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করতেন। তাদের কথামতো ওখানে না গেলে তার মেয়েকে শ্রেণিকক্ষে বকাঝকা করতেন এবং পরীক্ষার খাতায় নম্বর কমিয়ে দেয়ার ভয় দেখাতেন। প্রায় সময় তার মেয়েকে খারাপ প্রস্তাব দেন তারা। তাতে রাজি না হলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান। দুইজনই তার মেয়ের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বাজে কথা বলতেন।
এজাহারে বলা হয়, সর্বশেষ গত রোববার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে টিফিন বিরতি দিলে তার মেয়েকে কৌশলে স্কুলের ষষ্ঠ তলার বাথরুমের পাশে নিয়ে যান। তখন দুইজন তার মেয়ের শরীরে অবাঞ্ছিত স্পর্শ করে শ্লীলতাহানি করেন। তাদের এমন আচরণে ভীত হয়ে চিৎকার দিলে এই ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান তারা। তার মেয়ে ভয়ে স্কুলে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। স্কুল ছুটির পর বাসায় এসে কান্নাকাটি শুরু করে। তখন তার কাছে জানতে চাইলে সে তার মাকে ঘটনার বিস্তারিত বলে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সেন্ট স্কলাসটিকাস গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক রকিব উদ্দিন বলেন, এগুলো মিথ্যা অভিযোগ। যিনি অভিযোগ করেছেন তার কাছে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ আছে? একটি পক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
সুরজিত পাল বলেন, ফেক আইডি খুলে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুল তদন্ত কমিটি করেছে। বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। আমরাও চাই তদন্তে আসল সত্য বেরিয়ে আসুক।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা বলেন, একজন অভিভাবক তার মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।