ঝালকাঠিতে এক কলেজছাত্রীকে গলাকেটে হত্যার চার বছর পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডিত সোহাগ মীর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের আনিপাড়া গ্রামের ছোবাহান মীরের ছেলে। সে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে চাকরি করতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম রায় ঘোষণা করেন। এসময় সোহাগ মীর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সরকারি কৌশুলি (পিপি) আব্দুল মান্নান রসূল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জেলার নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদারে মেয়ে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী বেনজীর জাহান মুক্তার (১৯) সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্রে প্রেম হয় সোহাগ মীরের। কিছুদিন সম্পর্ক চলার পর তাদের মধ্যে মতনৈক্য সৃষ্টি হয়। এরপর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সোহাগ ঢাকা থেকে এসে মোবইল ফোনে মুক্তাকে বাড়ির কাছের রাস্তায় ডেকে নিয়ে ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনার তিন দিন পর নলছিটি থানা ও ডিবি পুলিশ পটুয়াখালী জেলার কলাপড়া থেকে সোহাগ মীরকে গ্রেফতার করে। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয় সোহাগ। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মার্চ নলছিটি থানার পরিদর্শক আব্দুল হালিম তালুকদার দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় সোহাগ মীরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।