ছাত্রীদের অশ্লীল কথা বলার অভিযোগে রাজশাহীর মোহনপুরে এক শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার উপজেলার ধুরইলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে আজ সকালে ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা একত্রিত হয়ে স্কুলটি ঘেরাও করে রাখেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস উপস্থিত হন। এ সময় তারা প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে পুলিশ ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক স্কুলছাত্রীদের অশ্লীল ও আপত্তিকর কথা বলেন। কয়েকজন ছাত্রী অভিভাবকদের কাছে এ অভিযোগ করেছে।
অভিযুক্ত সোহরাব আলী খান ( ৫৫) ধুরইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। তিনি একই উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়নের মৌপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্রামের সব মানুষ একত্রিত হয়ে স্কুলটি ঘেরাও করেছিল। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়। পুলিশ সবাইকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে। এ সময় এক কিশোর পড়ে গিয়ে আহত হয়। এতে এলাকার লোকজন আরও উত্তেজিত হয়। পরে আমি গিয়ে সবাইকে শান্ত করি। এরপর এসিল্যান্ড আসেন। এলাকার লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই শিক্ষকের নাকি একটু সমস্যা আছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, তিনি ছাত্রীদের অশ্লীল-আপত্তিকর কথা বলেন। গ্রামে বিষয়টা নিয়ে আলোচনার পর সবাই একত্রিত হয়ে আজ স্কুল ঘেরাও করেন। প্রধান শিক্ষককে থানায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগীরাও সেখানে গিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হচ্ছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে প্রায় দশ বছর আগে এসেছেন। এর আগে যে স্কুলে ছিলেন সেখানেও এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা মামলাও হয়েছিল।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পুলিশ হেফাজতে থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিপদ মণ্ডল বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আমাদের হেফাজতেই আছেন। এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তবে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকেরা মামলা করবেন জানিয়েছেন। মামলা হলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’