কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীর বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে সাবেক প্রেমিক সম্রাট শেখ ও তাঁর বন্ধু মানিক হোসেনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে আসামি মানিক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার মানিক উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বড়ুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, প্রায় চার বছর আগে নন্দনালপুর ইউনিয়নের এলংগী গ্রামের ভ্যানচালক বিল্লাল শেখের ছেলে সম্রাট শেখের সঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে মনের মিল না হওয়ায় দুই বছর আগে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপরও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে মাঝেমধ্যে বাড়িতে লোক পাঠাতেন সম্রাট। সম্রাট বর্তমানে সৌদি আরব প্রবাসী। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই কলেজছাত্রীকে লোক দিয়ে পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করাসহ অ্যাসিড নিক্ষেপ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
গত শনিবার রাত ১টার দিকে সম্রাটের লোকজন প্রেমিকার বাড়িতে আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও দুই মণ রসুনের বীজ, শ্যালো ইঞ্জিনসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি ষাঁড় গরু পুড়ে যায়।
মামলার বাদী বলেন, ‘সম্রাট আমার মেয়েকে বিয়ে করতে না পেরে বিদেশে বসেই নিয়মিত হত্যা ও আগুন দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। গত শনিবার আমার বাড়িতে সম্রাটের লোকজন আগুন দিয়েছে। আমি সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ হাসান বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর থেকে সম্রাট মেয়ে ও তাঁর পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, সম্রাট বিদেশে বসে তাঁর লোকজন দিয়ে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’