বাকৃবিছাত্রীর শ্লী*লতাহানির বিচার দাবিতে বিক্ষোভ, প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের ভেতর পশুপালন অনুষদের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশুপালন অনুষদের ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন আন্দোলনরতরা। পরে তারা উপাচার্যের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অপমান করেছেন– এমন অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, যেখানে শিক্ষকদের সম্মান নেই, সেখানে কাজ করা অসম্ভব। আন্দোলনকারীরা শিক্ষকদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে গালাগাল করেছে। এ জন্য প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর সবাই সই করে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

এর আগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে শাহজালাল পশুপুষ্টি মাঠ গবেষণাগার সংলগ্ন সড়কে শ্লীলতাহানির শিকার হন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। অটোরিকশার এক চালকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। এর বিচার চেয়েই আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে– শনিবারের ঘটনার অবিলম্বে বিচার করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট রাস্তা ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা, রিকশাগুলোর নির্ধারিত কোড ও রিকশাচালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মের রাস্তাগুলোতে অবিলম্বে নিরাপত্তা জোরদার করা। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশপথগুলোর নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগে সাধারণ নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। আর শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিচার নিশ্চিতে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। 

প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের বিষয়ে উপাচার্য জানান, প্রক্টর এবং ছাত্রদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটি সাময়িক বিষয়। দু-একদিনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ - dainik shiksha শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036530494689941