ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্কের জেরে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. সুমন আহম্মেদ কালঘড়া হাফেজউল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার তার পদত্যাগের বিষয়টি স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সুলতান আহমেদ নিশ্চিত করেন। পদত্যাগের পর আন্দোলনকারী দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- লহরী গ্রামের শহিদুল হকের ছেলে এমএ পরীক্ষার্থী ফয়সাল চৌধুরী ও আবদুল সোবহানের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী রায়হান। তারা নবীনগর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় আহত ফয়সাল চৌধুরী বাদী হয়ে শিক্ষক সুমনসহ তার ৬ ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
গত ৩০ জুলাই এক ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক সুমনের অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনায় তিন শতাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তারা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে তারা ৬ ভাই মিলে এ হামলা চালান।
এ বিষয়ে আহত ফয়সাল চৌধুরী ও রায়হান বলেন, ‘আমরা তার বহিষ্কারের আন্দোলন করেছিলাম। এতে সুমন ও তার ভাইরা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের উপর হামলা চালান। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে খণ্ডকালীন শিক্ষক সুমন আহমেদ বলেন, ‘আমি চক্রান্তের শিকার। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। তাই আমি স্বেচ্ছায় বিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করেছি।’
এ বিষয়ে কালঘড়া হাফিজউল্লা উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সুলতান আহমেদ বলেন, ‘যেহেতু তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সেহেতু আমরা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’