বগুড়ার শেরপুরে ছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে এক শিক্ষককে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শিক্ষকের নাম মোনারুল ইসলাম (৩৫)।
শনিবার (৭জানুয়ারি) সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মোনারুল উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একই ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় অবস্থিত প্রতিভা কিন্ডার গার্ডেন কেজি স্কুল। আর ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন মোনারুল ইসলাম। এক পর্যায়ে এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই শিক্ষকের। বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রীকে বিয়ে দেয়া হয়। এরপরও তাকে উত্যক্ত করছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ৩০ ডিসেম্বর ইসলামী জালসা উপলক্ষে নওদাপাড় গ্রামস্থ বাবার বাড়িতে আসে ওই ছাত্রী। কিন্তু ওই দিন দিবাগত রাতে সেখানে গিয়েও তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। পরে জানতে পেরে মোনারুলকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির উঠানে থাকা গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটায় ওই ছাত্রীর স্বজনরা।
এতে মোনারুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তার স্বজনরা এসে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমকে) এবং পরে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, ঢাকায় নিহতের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর লাশ শেরপুরে আসবে। তখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
অভিযোগ ও তদন্তে যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।