করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেও ভাতা পাচ্ছেন না ডিপ্লোমা-ইন-প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকরা।
৬ মাসের ভাতা না পাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন সিলেটের পিটিআইয়ে প্রশিক্ষণরত প্রাথমিকের হাজারো শিক্ষক। আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই ভাতা-সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সংশ্নিষ্টদের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।লিখিত বক্তব্যে সিলেট পিটিআইয়ের ডিপিএড প্রশিক্ষণার্থী ও পিটিআই বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুল মালিক মামুন জানান, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত সিলেট পিটিআইতে সশরীরে উপস্থিত থেকে তারা ডিপিএড ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস করেছেন। ১৭ মার্চ থেকে করোনার কারণে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে 'ঘরে বসে ডিপিএড অনুশীলন কার্যক্রম'-এ অংশ নেন তারা।
নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনে ক্লাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক ডিভাইস (হাই পারফরম্যান্স ল্যাপটপ/অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল) কিনতে হয়েছে তাদের।
সেই সঙ্গে অনলাইন ভিডিও ক্লাস করতে অধিক খরচে বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নিতে হয়েছে। এতে প্রচুর অর্থ খরচ হয়। অথচ ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসের ভাতা তারা এখনও পাননি। এ অবস্থায় আর্থিক কষ্টে পড়েছেন তারা।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিপিএড ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সিলেট পিটিআইয়ের প্রশিক্ষণরত রাসেল আহমদ, আবুল আজাদ, মোহাম্মদ জাহেদ ইকবাল, লিজা বেগম, বিনয় পণ্ডিত, নাহিদা সরকার, জয়ন্ত তালুকদার, তৃপ্তি বিশ্বাস, সৌরভ রায়, নাঈমা সরকার মিতু, ফৌজিয়া বেগম চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন