নারীদেহের বেশির ভাগ অংশই গাছ দিয়ে তৈরি। ছাড়া পেলে নাকি জঙ্গলের মধ্যে দৌড়ে বেড়ায় ‘অশরীরী’। কোথায় রয়েছে এই ভয়ঙ্কর ‘বৃক্ষনারী’?
কানাডার লাব্রাডর এবং নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে কোন্নে নদীর কাছে গ়ড়ে উঠেছে মিয়াওপুকেক ফার্স্ট নেশন রিজ়ার্ভ। এখানকার ঘন জঙ্গলের মধ্যেই খোঁজ মিলেছে ভয়ঙ্কর নারীরূপী গাছের।
মিয়াওপুকেক রিজ়ার্ভে ঘন জঙ্গলের ভেতর এমন একটি গাছ রয়েছে যার বাকল, গুঁড়ি বেরিয়ে এমন আকার ধারণ করেছে এক নজরে যা দেখলে মনে হয় গাছটি কোনো নারীকে নিজের ভেতরে টেনে রাখার চেষ্টা করছে। নারীর দেহের সঙ্গে গাছটিকে আলাদা করা যাচ্ছে না। পা দু’টিও যেন গাছেরই অংশ। কোমর, পেট থেকে গলা পর্যন্ত যেন গাছের মধ্যে ঢুকে রয়েছে।
তবে নারীদেহটি মু্ণ্ডহীন। গাছটি সোজা দাঁড়িয়ে থাকলেও নারীর দেহটি বেঁকে গিয়ে বাঁদিকে হেলে রয়েছে। যেনো গাছ থেকে নিজেকে আলাদা করার চেষ্টায় ছিলেন ওই নারী। মাথা আলাদা করতে পারলেও দেহের সর্বাংশ আটকে পড়েছে গাছের ভেতর।
গাছের বাইরের দিকে মাথা বার করতে গিয়ে তা কাটা পড়েছে বলেও মনে করা হয়।
জঙ্গলের ভেতর বহু দিন এই গাছ থাকলেও তা নজরে পড়ে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে।
মিয়াওপুকাক রিজ়ার্ভে ঘুরতে গিয়েছিলেন শেন ম্যাকডোনাল্ড এবং অ্যাডা জন নামে দুই পর্যটক। জঙ্গলের ভেতর হাইক করতে গিয়ে এই অদ্ভুত গাছ নজরে পড়ে তাঁদের। দেখামাত্রই অবাক হয়ে যান তাঁরা।
শেন ও অ্যাডা দু’জনেই নারীর নকল মাথা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। শ্যাওলা দিয়ে নারীর চোখ, মুখও তৈরি করেন। মাথার সঙ্গে নকল চুল তৈরি করে গাছের সঙ্গে নকল মাথাটি লাগিয়ে দেন তাঁরা।
গাছের ছবিটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন শেন এবং অ্যাডা। তার পরেই সমাজমাধ্যমে ঝড় বয়ে যায়। অনেকেই ভয় পেয়ে যান, আবার অনেকে বিষয়টি নিয়ে মজা করতে শুরু করেন।
‘দ্য ওয়াকিং ডেড’ নামের এক জনপ্রিয় জম্বি ধারাবাহিকের একটি চরিত্র আলফা। সেই চরিত্রের সঙ্গে মুখের মিল খুঁজে পান নেটব্যবহারকারীরা। বিষয়টি নজরে পড়ে মিয়াওপুকেকের পর্যটন এবং সংস্কৃতি বিভাগের ডিরেক্টর কোলিন লাম্বার্টের।
কোলিন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। কোলিন এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘এই ধরনের গাছ যে জঙ্গলের ভেতর ছিল তা আমিও জানতাম না। হাইকিংয়ের প্রতি সকলের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার প্রয়োজন বলে মনে করেছিলাম।’
কোলিন চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, জঙ্গলের ঠিক কোন জায়গায় গাছটি রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে। গাছটি খুঁজে পেলে তার সামনে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী হাইকারদের জন্য আকর্ষণীয় উপহারেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
কোলিনের পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিযোগিতার আয়োজন ফলপ্রসূ হয়। গাছের সন্ধানের জন্য হাইকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সমাজমাধ্যমেও হাইকারদের তোলা ছবি এবং নিজস্বী ছড়িয়ে পড়ে। কোলিনের বক্তব্য, গাছের মাধ্যমে জায়গাটি প্রচার পাওয়ায় পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘বৃক্ষনারী’কে দেখতেই জঙ্গলে হাইক করছেন অনেকে।
সূত্র: আনন্দবাজার
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।