বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে নিজেদের জনগণের শাসক নয়, সেবক ও খাদেম পরিচয় দেবে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত কর্মীরা আজীবন সমাজকর্মী হয়ে থাকবে।
বুধবার রাজধানীর বকশীবাজারে কারা কনভেনশন সেন্টারে চকবাজার থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ ঘরে ঘরে চাকরি দেবে বলে ঘরে ঘরে মামলা আর লাশ দিয়েছে। জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে জনগণকেই হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। বিগত ১৫ বছর দেশের প্রতিটি নাগরিক কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের জুলুমের শিকার হয়েছে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা বলে আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, তাদের বলব আওয়ামী লীগ নির্বাচন কবে চেয়েছে? ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে একদলীয় নির্বাচন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে রাতের ভোট, সবশেষ ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে ডামি ভোট করা আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচন বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে ভয় পায়, শুধু ভয় নয় চরম ভয় পায়। সে জন্য বিরোধী দলমত সহ্য করতে পারে না। বিরোধী দলমত দমন করে তারা চেয়েছে আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকতে। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েও টিকে থাকতে না পেরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে গোষ্ঠীসহ দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।
নতুন বাংলাদেশকে আর কোন মাফিয়ার হাতে যেতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, দখলদারমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের জন্য প্রয়োজন আদর্শবান নেতৃত্বের। সেই নেতৃত্বে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জামায়াত আমির বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। দলমত ভিন্ন হতে পারে তবে জাতীর স্বার্থে এক হয়ে যাব। কোনো বিভাজন সহ্য করা হবে না। যারা বিভাজন সৃষ্টি করবে তারা জাতীয় শত্রু। নির্বাচনি রোডম্যাপের আগে সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাই।
চকবাজার থানা আমির আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন রাজনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।