দেশে যে পরিমাণ লুটপাট হয়েছে, তার তুলনায় এই বাঁধ নির্মাণের খরচ ধুলোর সমান। আপনারা ভুক্তভোগী। সমস্যাগুলো আপনারাই ভালো জানেন। আপনাদের পরামর্শক্রমে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে এই বাঁধের স্থায়ী সমাধান করা হবে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়া বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।
পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ২০টি পরিবারকে নগদ ৬ হাজার করে টাকা, ২ বান্ডেল ঢেউটিন এবং ৪৫টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নকিবুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিদারুল আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন, রুকুনুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, গত ৪ অক্টোবর ভারি বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ৪ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে শেরপুর সদর উপজেলার একাংশসহ ঝিনাইগাতী, নকলা, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদী উপজেলাসহ প্লাবিত হয় প্রায় পুরো জেলা। রাক্ষসী এই ঢলে শতশত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন ফসলের আবাদ, পুকুরের মাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। স্বাধীনতার পরবর্তীতে এমন বন্যা দেখেনি শেরপুরবাসী। এতে সব মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় এক হাজার কোট টাকা।