একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বরাবর প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার চেয়েছে ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান।
রোববার (৯ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান সইকৃত এক প্রতিবাদলিপিতে এ দাবি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর মারফত আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ জানতে পারলাম, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের গত ৬ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় নিজস্ব মতামত উপস্থাপনকালে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়েরই কতিপয় শিক্ষক কর্তৃক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। আমরা ভূগোলবিদ হিসেবে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন মতপ্রকাশের এবং পরমত সহিষ্ণুতার চর্চা করার পীঠস্থান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতা আমাদের এনে দিয়েছেন, সে স্বাধীনতার চেতনার অনুসারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও যুক্তির লালন করা। পেশিশক্তির নয় বরং যুক্তির মধ্য দিয়ে অন্যের যুক্তিকে পতনের সুস্থ চর্চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে কাম্য। কিন্তু গত ৬ এপ্রিল আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভার এর ব্যত্যয় দেখে আমরা খুবই ব্যথিত ও বিস্মিত।
প্রতিবাদলিপিতে চেয়ারম্যানরা আরও বলেন, আমরা মনে করি জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের চিহ্নিত করা ও শাস্তি প্রদান করা অতি জরুরি। আমরা আশা করি আপনি এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তদুপরি আপনার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সভাপতিবৃন্দ ড. মো. আব্দুল কাদেরের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি এবং তার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
প্রতিবাদলিপিতে সইকারীরা হলেন- ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম; রাবির অধ্যাপক ড. শীতাষ্ণু কুমার পাল; চবির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ ও শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।