জবি কোষাধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করতে দুদকে চিঠি

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে কোটি টাকা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পক্ষে এ চিঠি প্রেরণ করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চিঠি দেন তারা। চিঠিতে ড. কামালউদ্দিন আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। দুদক থেকে সেই চিঠি গ্রহণ করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ হওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে ব্যাপকভাবে অনিয়ম দুর্নীতি এবং নিয়োগবাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২য় ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পে যুদ্ধাপরাধী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া আসামি সাকা চৌধুরীর পরিবারের ফার্ম ‘এডিএল’কে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বারবার কাজ পাইয়ে দিতে সহায়তা প্রদান করেন তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক কার্যক্রমের দায়িত্ব নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পান। অবৈধভাবে উপার্জিত কোটি কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার জন্য লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও চিঠিতে বলা হয়। 

চিঠিতে আরো বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি। তদন্তের মাধ্যমে কামালউদ্দিন আহমদের দুর্নীতিসহ তার সব নিয়ম বহির্ভূত তথ্য বেরিয়ে আসবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এক রায়ে বর্তমান ট্রেজারার কামালউদ্দিন আহমেদকে অদক্ষ প্রশাসক হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২৬ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদের ৪ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে হবে। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অবসর নেন। পরে তাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002830982208252