দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে কি থাকবে না সেটা আমার সিনিয়র শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করবে যে তারা কি চান। আমি নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছি, সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছি।
শুক্রবার (৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপাচার্য বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা তুলে ধরবে গণমাধ্যম, এই আশা আমি করি। এছাড়াও গুচ্ছের ভালো দিক ও খারাপ দিকগুলোও যেন স্পষ্টভাবে গণমাধ্যমে উঠে আসে সে বিষয়ে নজর দিতে বলেন তিনি।
গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় একের পর এক মেধাতালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে ড. সাদেকা হালিম বলেন, এবার তো প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ। আশা করি, এবার বেশি মেধাতালিকা প্রকাশের প্রয়োজন হবে না। যারা সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে ইচ্ছুক তারাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।
এবার ৬ হাজার আসনের বিপরীতে ‘বি’ ইউনিটে মোট আবেদন পড়েছে মোট ৯৪ হাজার ৯৩১ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৩ জন পরীক্ষার্থী।
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় হলো– জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।