জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের গাড়ি চালকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে তিনি বেশ কয়েকজন গাড়িচালককে চড়-থাপ্পড় ও গালি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান প্রকৌশলী।
জানা যায়, কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের নির্ধারিত গাড়িতে করে নতুন ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেন প্রধান প্রকৌশলী। যাওয়ার পথে প্রকৌশলী ফোনে কথা বলার সময়ে গাড়িচালক বিপ্লবের মোবাইল ফোনেও কল করেন পরিবহন পুলের এক কর্মকর্তা। তখন চালক বিপ্লব ফোন রিসিভ করে কথা বলতে থাকলে পেছন থেকে থাপ্পড় মেরে বসেন প্রধান প্রকৌশলী।
এ বিষয়ে গাড়িচালক বিপ্লব বলেন, যেহেতু অফিস থেকে ফোন এসেছে আমাকে রিসিভ করতেই হতো। কিন্তু প্রধান প্রকৌশলী আমাকে পেছন থেকে ঘাড় ধরে থাপ্পড় দেন। তখন আমি ওনাকে আর কিছু বলিনি। ক্যাম্পাসে এসে পরিবহন প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। স্যার আমাকে বিষয়টি দেখবেন বলেছেন।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পরিবহন পুলের একাধিক চালক প্রকৌশলীর এমন অমানবিক আচরণের অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের অফিসে। নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক মোখলেসকেও বিভিন্ন সময় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও জানা গেছে।
পরিবহন পুলের একাধিক গাড়িচালক জানান, বিভিন্ন সময় প্রকৌশলী তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করে। এসব ঘটনার পর সব গাড়ি বন্ধ করে দিতেও চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু পরিবহন প্রশাসকের আশ্বাসে তা করেননি তারা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, আসলে বিষয়টি এমন ছিলো না। অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কল আসে আমার। তখন চালকেরা কথা বলতে লাগলে আমি পেছন থেকে সিগন্যাল দিয়ে থাকি হাত দিয়ে। হয়তো অনেককেই এই সিগন্যাল দিয়ে থাকতে পারি। এটা শুধুই সিগন্যাল ছিল, অন্য কিছু নয়। আমি কারও সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছি বলে তো আমার মনে পড়ে না।
এ বিষয়ে পরিবহন পুলের প্রশাসক সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, গাড়িচালকরা প্রধান প্রকৌশলীর এমন আচরণের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছিলেন। তখন আমি প্রকৌশলীকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করেছি। তখন তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সিদ্ধার্থ ভৌমিক আরো বলেন, পরিবহন পুলের কোনো কর্মকর্তা চালকদের ফোন করলে তারা কল ধরতে বাধ্য। পরিবহন পুলের তিন-চারজন চালক প্রকৌশলীর কাছে মার খাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে আমাকে। আমি উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছি।