দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যা ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে নতুন ছয় দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার এক মশাল মিছিল শেষে এ দাবি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম। এ সময় প্রয়োজনে ঢাকা শহর অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তৌফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের আলটিমেটাম অনুযায়ী প্রশাসন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। প্রশাসন আমাদের আরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আশাকরি তাও বাস্তবতায়ন হবে। অবন্তিকাকে টেকনিক্যালি হত্যা করা হয়েছে। আমরা-এর বিচার চাই। এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছয় দফা দাবি জানান তিনি।
দাবিগুলো হলো - অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আম্মান সিদ্দিকী ও দ্বীন ইসলামকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে, অভিযুক্তদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডি, প্রক্টর মোস্তফা কামালসহ সবাইকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, আগে ঘটে যাওয়া সকল নিপিড়নের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্য নিশ্চিত করতে হবে, অতিদ্রুত সময়ে নিরপেক্ষ নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতি বিভাগে-বিভাগে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশালিস্ট মনোবিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে, ইন্টার্ন দিয়ে চলবে না, প্রশাসনের দেয়া প্রতিশ্রুতি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্য উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরেক শিক্ষার্থী নাইম রাজ বলেন, শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নির্যাতিত হলে আমরা কন্ঠস্বর উচ্চারণ করবো। শিক্ষার্থীরা শিক্ষক দ্বারা নির্যাতিত হলেও তার সঙ্গে আমরা কন্ঠস্বর উচ্চারণ করবো। আমরা নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট দেখতে চাই। এ সময় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নবিরোধী সেল করার দাবি জানান তিনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে আলোক প্রজ্জ্বলন ও পারফরম্যান্স আর্টের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থী ইভান তাহসিব বলেন, অবন্তিকার মৃত্যু সুইসাইড নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। এখন ভিকটিম ব্লেমিং চলছে। অবন্তিকা সাহসী ছিলো। সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো। প্রক্টর অফিসে দেয়া অবন্তিকার অভিযোগপত্র কেনো ভিসি পর্যন্ত যায়নি আমরা তা জানতে চাই। এ সময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তিনিও।