জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রযোজনায় মঞ্চায়িত হয়েছে সেলিম আল দীনের ‘নিমজ্জন’ নাটক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে গণহত্যা বিষয়ক নাটকটি মঞ্চায়ন করা হয়।
নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান শামস্ শাহরিয়ার কবিরের সার্বিক পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় নাটকটিতে ফুটে ওঠে গণহত্যায় আকীর্ণ এক অদ্ভুত শহরের চিত্র। শহরের রেলপথে এক আগন্তুক আসেন তার মরণাপন্ন বন্ধুকে দেখতে। তিনি শহরের পথ পরিক্রমায় প্লাটফর্মে ঝুলন্ত কুলির লাশ, শহরের সময়কে ঠিক রাখার প্রচেষ্টারত চাবিওয়াল বৃদ্ধ, গেস্টহাউসে রাত্রি খুলবার আশ্চর্য তালা, লেখক সংঘে আগন্তুকের আগমন দেখতে পান। পরে মরণাপন্ন বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কথোপকথনে পৃথিবীব্যাপী গণহত্যার ইতিহাস, সভ্যতা ও নতুন রাষ্ট্রক্রমভাবনার দর্শন উঠে আসে।
নাটকে আগন্তুক চরিত্রে অভিনয় করেন মাজেদ আহমেদ ও সাদ্দাম হোসেন, ভিক্ষুক চরিত্রে মাহাবুবুর রহমান, চাবিওয়ালা চরিত্রে মো. এনামুল হাসান কাওছার, গেস্ট হাউজের মালিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক (আগন্তুকের বন্ধু) চরিত্রে মো. ইমরান হোসেন, কবি চরিত্রে সাজ্জাত হোসেন, সাহিত্যের অধ্যাপক চরিত্রে ইমরান হাবীব, ইকোলোজিস্ট চরিত্রে হাফসা ফারিহা উর্মী, ইন্টারোগেশন অফিসার হিসেবে তাকরিম, উর্মী, সাজ্জাত এবং যুবক চরিত্রে ছিলেন শান্ত।
নাটকের কোরিওগ্রাফি দলে ছিলেন নিশা, বাবলু, মিম, অনামিকা, কর্ণা, অনন্যা, সোমালি, মুস্তাকিন, মুগ্ধ। আবহ সঙ্গীতে ছিলেন, শৈলী, খুশি, শোভন, নওমী, হিয়া, পলক, নিশা ও রিয়াজ। দ্রব্যসামগ্রী প্রয়োগে ছিলেন সাজ্জাত, অনামিকা, সোমালি, কর্ণা, শান্ত, উর্মী, ইমন। পোশাক পরিকল্পনা সহযোগী ছিলেন উর্মী, মাহবুব ও সাদ্দাম। মুখোশ নির্মাণে ছিলেন জেরিন চাকমা ও মীম। প্রচার ও প্রকাশনায় ছিলেন ইমন ও কাওছার। সেট নির্মাণ ও প্রয়োগে ছিলেন রঞ্জন, মাহবুব, নোভা, তামান্না, শ্রাবন্তী, অভিজিত, ইয়াছিন, ফিজা, কাকন, আনোয়ার, ব্রতী, সৌমিক, রুদ্র, রাজিন। পাণ্ডুলিপি সম্পাদনায় ছিলেন কাওছার। ফ্লোর ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন মাহাবুবুর রহমান ও সাদ্দাম হোসেন।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।