জবির প্রধান ফটকে নিয়মিত যানজট, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

জবি প্রতিনিধি |

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেই সদরঘাট, লক্ষীবাজার ও রায়সাহেব বাজারগামী ত্রিমুখী রাস্তা। ফটকের উল্টো পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি। যে কারণে শিক্ষার্থীদের হরহামেশাই রাস্তা পার হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ব্যস্ততম এ রাস্তার পাশ ঘেষে পার্কিং করা হয় বাস। যার ফলে এ জায়গাটি হয়ে গেছে যানজটের কেন্দ্রস্থল। রাস্তা পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যেতে প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রবেশের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটকটি বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন। ফটকের সামনেই সামনে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি বাস ও বাস কাউন্টার। বাসগুলার মধ্যে অন্যতম তানজিল, বিহঙ্গ, সাভার পরিবহন, ভিক্টর ক্লাসিক, আজমেরী গ্লোরী অন্যতম।

অন্যদিকে সদরঘাট হয়ে জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা যাওয়ার জন্য লেগুনা পরিবহনগুলোও ক্যাম্পাসের সামনের ফটক দিয়ে যাতায়াত করে। গুলিস্তানগামী টমটম ঘোড়ার গাড়ির যাত্রীদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে উঠানামা করতে দেখা যায়। লেগুনা ও ঘোড়ার গাড়িগুলো রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক থেকে একটু সামনে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ত্রিমুখী সড়কটিতে সব সময় থাকে ব্যস্ততা।

ব্যস্ততম এ সড়ক পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে ও বের হওয়ার ভোগান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নিয়মিতই ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তা পার হয়ে প্রধান ফটকের সামনে যেতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাই হাত উঁচিয়ে, গা বাঁচিয়ে কোনো রকম চেষ্টা করে চলেছেন। 

রাস্তা পার হতে যেয়ে ভোগান্তির শিকার চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের এ রাস্তায় শরীরের ওপর রিকশা উঠিয়ে দেয়ার উপক্রম হয়। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলার জন্য কিছু করা উচিত।

শিক্ষার্থীরা জানান, বৃষ্টির দিনে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। বৃষ্টি হলে বৃদ্ধি পায় যানজট। রাস্তা পারাপারে ভোগান্তি এড়াতে দীর্ঘদিন এই ফটকের ওপর ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে রাস্তা পার হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ট্রাফিক বিভাগকে চিঠি দিয়েছিলেন তারা। এছাড়াও ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করতে চিঠি পাঠানোও হয়েছিল সিটি কর্পোরেশনকে। কিন্ত বাস্তবে এখনও তার কোনো কার্যকারিতা দেখা যায়নি। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২০০ - dainik shiksha ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২০০ ‘আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ - dainik shiksha ‘আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ ইউজিসির - dainik shiksha ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ ইউজিসির পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাবির প্রশাসনিক ভবন থেকে ‘শেখ মুজিবের’ ছবি অপসারণ - dainik shiksha জাবির প্রশাসনিক ভবন থেকে ‘শেখ মুজিবের’ ছবি অপসারণ ইএফটি সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha ইএফটি সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024518966674805