জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে লক্ষ্মীপুর সদরে একটি বিদ্যালয়ের ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। তছনছ করা হয়েছে আসবাব। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার পালেরহাট আইডিয়াল একাডেমিতে দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে। বার্ষিক পরীক্ষার আগে এমন ঘটনায় প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় বসা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পালেরহাট বাজারে ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। বিদ্যালয়ের
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকতেই পারে; কিন্তু এভাবে একটি বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা মেনে নেওয়া যায় না। সামনে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা। এ অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোরশেদ কামাল বলেন, বিদ্যালয়ের জমির মালিক তাঁর মা। তোফায়েল আহমেদ, আবু তাহেররা তাঁর মায়ের চাচাতো ভাই। তাঁরা এ জমির মালিকানা দাবি করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), থানা ও ইউএনও অফিসে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাঁরা জমির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বৃহস্পতিবার রাতে তোফায়েলরা দলবল নিয়ে জোরপূর্বক জমি দখল নিতে বিদ্যালয়ে ভাঙচুর চালান। ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে। এরপর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তোফায়েল ও আবু তাহের কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁরা ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেছেন। তোফায়েলের ভাতিজা সোহাগ হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। এরপর তারা জাল দলিল করে সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে আসছে। তাই তাঁরা সম্পত্তি উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন। এর বেশি কিছু নয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছ উজ জামান বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ফিরে এলে আবারও ভাঙচুর চালানো হয়। গতকাল শুক্রবার ২৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।