গেল সাপ্তাহিক ছুটির শেষে অমর একুশে বইমেলাতে বই বিক্রি আশানুরূপ না হলে পাঠক-দর্শনার্থী সমাগমের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বই বিক্রিও বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে বই বিক্রি আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা বিক্রয়কর্মীদের।
মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে শুরু হয় মেলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে পাঠক-দর্শনার্থীদের সংখ্যাও। গেল দুদিনের বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানান বিক্রয়কর্মীরা।
আগামী প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী পাপিয়া সুলতানা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত দু’দিনের তুলনায় মঙ্গলবার বই ভালো বিক্রি। পাঠক আসছেন, নেড়ে-চেড়ে দেখে কিনছেন বই। এবারের বইমেলাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, হুমায়ুন আজাদের বই তুলনামূলক আমাদের বেশি বিক্রি হচ্ছে।
জ্ঞানকোষ প্রকাশনের বিক্রয়কর্মী রিয়াজ হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গতকাল সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার বিক্রি অনেক বেশি। আশা করছি এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। টাকার ইতিহাস, আধুনিক গরু-রচনা সমগ্র, টয়োটা করোলা এ বইগুলো ভালো চলছে আমাদের। পুরোনো লেখকদের পাশাপাশি নতুন লেখকের বই বেশ ভালো চলেছে।
স্টুডেন্ট ওয়েজে বই বিক্রির চাপ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। প্রকাশনাটির বিক্রয়কর্মী ফজলে রাব্বি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত দু’দিনের তুলনায় চাপ বাড়ছে। প্রতিনিয়তই এ চাপ বাড়ছে। অয়ন্তি (মাহমুদুন নবী রনি), বিষাদের প্রেমে পড়া বারণ (সংযুক্তা সাহা), বাবার দেখা ভূতগুলো (আরজে উদয়) এ বইগুলো পাঠকদের বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।
পুঁথিনিলয় প্রকাশনে কয়েক খণ্ডে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প বেশ বিক্রি হচ্ছে। তার সঙ্গে পাঠকদের চাপও বেশ ভালোই যাচ্ছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান বিক্রয়কর্মী মায়া পাল। মায়া জানান, আমরা আশাবাদী সামনের দিনগুলোতেও বই ভালো বিক্রির সাড়া পাবো আমরা।
ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের অন্যতম প্রকাশক শান্তনু চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বই-বিক্রি বাড়ছে। তাছাড়া পাঠক দর্শনার্থীরা তো মেলার ১০-১৫ দিন বই দেখেন, তারপর বাকি দিনগুলোতে বই কেনেন। আশা রাখি, সামনের দিনগুলোতে বই খুব ভালো বিক্রি হবে।