দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : আরব সাগরে ইরানের পতাকাবাহী একটি মাছ ধরার নৌকায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা সবাই পাকিস্তানের নাগরিক। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইরানের ওই নৌকায় ১২ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালায় ভারতীয় নৌবাহিনী। নৌকাটি ইয়েমেনের সোকোট্রা দ্বীপ থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ভারতীয় নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় একটি ইরানি মাছ ধরার নৌকা আল-কাম্বার ৭৮৬-এ একটি জলদস্যুতার ঘটনা জানার পর দুটি ভারতীয় নৌ জাহাজ অভিযান চালায়। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রয়োগ করা প্রয়োজনীয় কৌশলগত পদক্ষেপের কারণে জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এ সময় ২৩ জন পাকিস্তানি ক্রুকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় নৌ বাহিনী জাহাজটিকে পরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে যাতে সেটি স্বাভাবিক মাছ ধরার কার্যক্রম আবার শুরু করতে পারে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, আরব সাগরে গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ছিনতাই হয় ইরানি ফিশিং জাহাজ ‘আল–কাম্বার ৭৮৬’। ৯ জন অস্ত্রধারী জাহাজটি ছিনতাই করে।
ওই সময় জাহাজটির অবস্থান ছিল সোকত্রা থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণপশ্চিমে। তবে সোমালি জলদস্যুরা জাহাজটি ছিনতাই করেছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে।
মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।