আমাদের বার্তা, বাকৃবি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে দেশের কৃষি আজ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের কল্যাণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে কৃষি গবেষণার ভিত্তি রচনা করেছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষি আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে। তাঁর হাত ধরেই কৃষি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
এসময় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে যেসব দেশ রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করে কৃষি গবেষকদের কল্যাণে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
‘সম্ভাবনার উন্মোচন ও সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক কৃষি সম্মেলনে আমেরিকা, জাপান, ইতালী, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, চায়না, কেনিয়া ও বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের ৪৫টি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ছয় শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও বিজ্ঞানী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। এই সম্মেলনের ফলে কৃষি বিষয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানীদের মাঝে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। সম্মেলনে ৮টি সেশনে প্রায় তিন শতাধিক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তৃতায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জৈব বৈচিত্র্যের অন্যতম উপাদান কৃষি, প্রাণিজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে কৃষি বিজ্ঞানীগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সাউরেস পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. তোফাজ্জল ইসলাম। সহযোগী প্রফেসর ড. তিলক চন্দ্র নাথ ও ড. ফাহমিদা ইসহাকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবশীষ সরকার, কোরিয়ার রোগ ও প্রতিরোধ এজেন্সির পরিচালক ড. লি হি, ভারতের বিধান চন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মানস মোহন অধিকারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাউরেসের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে সাউরেসের যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ছয় শতাধিক গবেষণা কার্যক্রম সাউরেসের তত্ত্বাবধানে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।