কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জলাবদ্ধতার কারণে ৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭০টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭টি ও ৫টি মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ভবনের মেঝেতে, মাঠে ও রাস্তায় পানি রয়েছে বলে উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় ১৭০টি প্রাথমিক, ৫৪টি মাধ্যমিক, ৪৮টি মাদ্রাসা, ১টি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ১১টি কলেজসহ ২৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যায়। এছাড়া চারপাশে পানি উঠে যাওয়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবনগুলোতে মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। এতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়।
গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হলে ও উপজেলার ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫টি মাদ্রাসার ভবনের মেঝে, মাঠ ও রাস্তায় পানি থাকায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি নেমে গেলে এবং পাঠদানের উপযোগী হলে তখন এসব প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে চারপাশে এখনো পানি থৈ থৈ অবস্থায় আদরের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতেও অনেক অভিভাবক চিন্তায় আছেন। আবার অনেক শিক্ষার্থীর বই-খাতা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তারা পড়াশোনা করতে পারছে না। এছাড়া বাড়ির উঠানে এবং রাস্তায় পানি থাকার কারণেও অনেক শিক্ষার্থী আসতে পারছে না। ফলে পাঠদান শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
আহসান উল্যাহ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বন্যার পানি ঘরে ঢুকে বই-খাতাসহ সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। এখন কীভাবে স্কুলে যাব চিন্তায় পড়ে গেলাম।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকিনা বেগম বলেন, উপজেলার ১৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭০টিতে পানি উঠেছে। এখনো ৭০টি বিদ্যালয়ের ভবনের মেঝে, মাঠে ও রাস্তায় পানি রয়েছে। ওই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৬৭ বিদ্যালয়ের কিছু বেঞ্চ, টয়লেট ও ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পানি নেমে গেছে সেসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে, তবে চতুর্দিকে পানি থাকার কারণে উপস্থিতি একদম কম বলে জানান তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম মীর হোসেন জানান, পানি থাকার কারণে উপজেলার ৭টি স্কুল ও ৫টি মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান শুরু হয়েছে।