জণগণের কাক্সিক্ষত দেশ পেতে জাতিসংঘের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের প্রয়োজন বলে মনে করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে। আজকে সিরিয়ার নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা বলছে সেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নির্বাচন দেয়া দরকার। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের ও বিশিষ্টজনদের এই বিষয়টি সামনে আনা উচিত। হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন ফিরিয়ে আনা, অন্যথায় জাতিসংঘের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। তাহলেই কেবল আমরা সেই জনগণের কাক্সিক্ষত বাজেট বা আমরা যেই উন্নয়ন চাই আমরা দেখতে পাবো।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সচেতন নাগরিকদের দৃষ্টিতে ২০২১-২২ জাতীয় বাজেটের উপর এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, তথা কথিত সংসদ আমি মনে করি এটা বৈধ কোনো সংসদ নয়। তারা রাষ্ট্র চালাচ্ছে, বাজেট দিয়েছি সে কারণে আমরা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি।
এই তথা কথিত সংসদেও আলোচনা হয়েছে যে, মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতির ডিপো হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সেই দুর্নীতিবাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি যারা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেছে তাদের গলা চেপে ধরছে, কারা? আমলারা যারা এই বিনা ভোটের সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে।
এই বাজেট ঘোষণার নৈতিক ভিত্তি এই বিনা ভোটের সরকারের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যতটুকু ঘোষণা করেছে আমরা একটা দাবি জানাবো মাত্র। যে ক্ষেত্রে যতটুক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা যেন নিশ্চিত করা হয়। দুর্নীতি রোধে যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
নূর বলেন, যখন আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো সেটা হোক গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কিংবা নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, কিংবা জাতিসংঘের অধীনে সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা যেই বাংলাদেশ পাবো তখন আমরা জনগণের কাক্সিক্ষত বাজেট নিয়ে হয়তো আমরা আলোচনা করতে পারবো।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ ডা. রেজা কিবরিয়া, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।