শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, জাতীয়করণটা কি সেটা নিয়ে শিক্ষকদের ধারণা সুস্পষ্ট নয়। আমরা বসেছিলাম শিক্ষক সংগঠনগুলোর সঙ্গে। সেখানে উনারা একটাকে বলছেন জাতীয়করণ, একটাকে বলছেন সরকারিকরণ।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয়করণ হলে বিসিএস-নন বিসিএস, পিএসসি-নন পিএসসি, এনটিআরসিএ-নন এনটিআরসিএ কিভাবে রিকনসাইল (এক স্থানে নিয়ে আসা) হবে উনাদের মধ্যেই তো সে ধারণাটা স্পষ্ট না। আমাদের অনেক বেশি এটাকে দেখতে হবে। কি করে একটা কার্যকর পদ্ধতিতে আমরা যেতে পারি। এ সমস্ত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যদি জাতীয়করণের একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে পারি, অবশ্যই আমরা যাবো।
তিনি বলেন, আমাদের মূল্য লক্ষ্য শিক্ষার মনোন্নয়ন এবং শিক্ষকদের জীবনমান ও সামাজিক মর্যাদার উন্নয়ন। আমরা জাতীয়করণ করতে চাই বা করতে চাই না বিষয়টি তা না। বিষয়টি হচ্ছে শিক্ষার মনোন্নয়ন করতে চাই। সব সুপারিশ যাচাই-বাছাই করে যেটা সঠিক পথ মনে হবে, শেখ হাসিনার সরকার ঠিক সে কাজটিই করবে।
প্রসঙ্গত, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকরা গত ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এরই মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে শিক্ষকদের আলোচনা হয়। আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে মন্ত্রী জাতীয়করণের বিষয়টি যাচাই বাছাইয়ে দুইটি কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেন। একইসঙ্গে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রীষ্মের ছুটি বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তারা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।
