জাবি শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর পরকীয়া, বিচার চাইলেন স্বামী

জাবি প্রতিনিধি |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুরের (তমাল) বিরুদ্ধে ওই বিভাগের এক ছাত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর স্বামী সাদ্দাম হোসেন বিচার চেয়ে রোববার জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলেন সাদ্দাম হোসেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের সাবেক ছাত্রীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সাদ্দাম হোসেন। অধ্যাপক তমাল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রজেক্টে তিথিকে ভলান্টিয়ারের কাজে যুক্ত করে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি করে। অধ্যাপক তমাল দর্শন বিভাগের সভাপতি থাকাকালে ২০১৯ সালে বাৎসরিক বনভোজনের সময় ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন উৎসব ছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রলোভনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে অধ্যাপকের বাসায় ডেকে নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হন। এরপর অধ্যাপক তমাল বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে সাদ্দামকে তালাকের জন্য ওই ছাত্রীকে পরামর্শ দেন। এরপর থেকে সাদ্দামের সঙ্গে ওই ছাত্রীর দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এসব বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন অধ্যাপক তমালের কাছে জানতে চাইলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওসমান গনি বলেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪এ অভিযোগ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। আসামি পেনাল কোডের ৪৯৭ ধারায় অ্যাডাল্টারির অপরাধ করেছেন। অভিযোগটি এখন তদন্তাধীন। তদন্ত প্রতিবেদন এলে আদালত শুনানির দিন ধার্য করবেন।

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে অধ্যাপক ড. মোস্তফা নাজমুল মানছুর (তমাল) বলেন, বাদী অভিযোগে যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছে সেটা ২০১৯ সালের। এতদিন আগের ঘটনা এখন নতুন করে তুলে আনার একটাই উদ্দেশ্য আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা। ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমার কোনো অনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। তার স্বামীর অভিযোগের ব্যাপারে আমি এখনো কিছু জানি না। এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনো কোনো নোটিশ আসেনি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, রোববার সাদ্দাম হোসেন পরকীয়ার বিষয় উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। যেহেতু এ বিষয় আদালতে বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য চাই না।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা - dainik shiksha শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি - dainik shiksha দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস - dainik shiksha ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা - dainik shiksha রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046818256378174