জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপাচার্য নির্বাচন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিদের ৫টি পদ বিগত ৩০ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে সিনেটে প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়াই এ নির্বাচন হওয়ায় সংক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, আজ শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন উপলক্ষে সিনেটের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এই অধিবেশনের একমাত্র আলোচ্যসূচি তিন সদস্যবিশিষ্ট উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন সম্পন্ন করা। যেখানে একজন সিনেটর গোপন ব্যালটে সর্বোচ্চ তিনটি ভোট দেবেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘শুধু ছাত্র প্রতিনিধির ৫টি পদ নয়, বরং সিনেটের ৯৩টি পদের মধ্যে ৬৩টি পদেই মনোনয়ন অথবা নির্বাচনের প্রয়োজন আছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩-এর ১৯(১) ধারা অনুসারে ৯৩ জন মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট গঠিত হবে। তবে বর্তমান সিনেটের বৈধ সদস্য ও প্যানেল নির্বাচনের ভোটার ৮১ জন।
ছাত্র প্রতিনিধি না থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকাটা হতাশাজনক। ৩০ বছর ধরে জাকসু না থাকাতে সিনেটে কোনো ছাত্র প্রতিনিধি নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আবু সাইদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সিনেটের অধিকাংশ সদস্যদের মেয়াদোত্তীর্ণ। এই ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনের কোটাভিত্তিক ভোটার দিয়ে প্রহসনমূলক নির্বাচনের নৈতিক ভিত্তি নেই। ছাত্র প্রতিনিধি নেই এমন নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি থেকে নির্বাচিত সিনেটর শিহাব উদ্দীন খান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভিসি প্যানেল নির্বাচন হতে যাচ্ছে, এটা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। তবে সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকায় শিক্ষার্থীদের পছন্দ বা ইচ্ছা প্রকাশের সুযোগ থাকছে না, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের দাবি, প্যানেল নির্বাচনের পর যিনিই ভিসি পদে নিয়োগ পান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবেন এবং সিনেটকে পরিপূর্ণতা দেবেন।’