একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গত মঙ্গলবার সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভার শুরুতে সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় বিলম্বে হলেও যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, কেবল দল বা সংগঠন হিসেবে নয়, তাদের আদর্শিক ভিত্তি, অর্থাৎ মওদুদীবাদী রাজনীতিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়াও যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয় এ যৌথ সভায়।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ধর্মের নামে যে হত্যা, নির্যাতন ও নৈরাজ্যের অপরাজনীতি চালিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী জামাত-শিবিরের নিয়ন্ত্রণাধীন আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। ধর্মকে ব্যবহার করে অপরাজনীতির পাশাপাশি মৌলবাদী অর্থনীতির যে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে, সে বিষয়েও তদন্ত করতে হবে কমিশনকে।
সংকটময় মুহূর্তে করণীয় নির্ধারণের জন্য সমমনা সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে কর্মসূচী প্রণয়নের বিষয়েও প্রস্তাব গৃহীত হয় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এ যৌথ সভায়।
স্বাক্ষরদাতা- শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, শহীদজায়া সালমা হক, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী আবুল বারক আলভী, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূ-তত্ত্ববিদ মো. মকবুল-এ ইলাহী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্ত্তী জুয়েল, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী কাজী কামাল ইকরাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর, মানবাধিকার নেতা কাজল দেবনাথ, এডভোকেট মো. আজহার উল্লাহ ভূঁইয়া, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, ড. কানিজ আকলিমা সুলতানা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), ডা. ইকবাল কবীর, অধ্যাপক মো. আলমগীর কবীর, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, এডভোকেট এম সাঈদ আহমেদ রাজা, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান নূজহাত চৌধুরী শম্পা, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, লেখক ব্লগার মারুফ রসূল, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, সাংবাদিক হারুন আর রশিদ, সংস্কৃতিকর্মী কাজল ঘোষ, সংস্কৃতিকর্মী শামসুল আলম সেলিম, সমাজকর্মী আবু সাদাত মো সায়েম, সংস্কৃতিকর্মী আব্দুল লতিফ চঞ্চল, চারুশিল্পী ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী, চলচ্চিত্রনির্মাতা ইসমাত জাহান, ছাত্রনেতা পলাশ সরকার, সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন, সংস্কৃতিকর্মী শাহীন উদ্দিন আহমেদ, সমাজকর্মী কেশব রঞ্জন সরকার, অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, সমাজকর্মী এ, বি, এম মাকসুদুল আনাম, এডভোকেট মালেক শেখ, সমাজকর্মী কামরুজ্জামান অপু, ছাত্রনেতা হারুণ অর রশিদ, ছাত্রনেতা অপূর্ব চক্রবর্তী, লেখক আলী আকবর টাবি, চলচ্চিত্রনির্মাতা লুবনা শারমিন, সহকারী অধ্যাপক শরীফ নুরজাহান, চারুশিল্পী শেখ শাহনেওয়াজ আলী পরাগ, সাংবাদিক আবু সালেহ রনি, চলচ্চিত্রনির্মাতা সাইফ উদ্দিন রুবেল, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, ড. তপন পালিত, চলচ্চিত্রনির্মাতা পিন্টু সাহা, সমাজকর্মী হাসান আব্দুল্লাহ বিপ্লব, রত্নদীপ দাস রাজু, সাংবাদিক সাইফ রায়হান, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী, শহীদসন্তান সাংবাদিক জাহিদ রেজা নূর, এডভোকেট আসাদুজ্জামান বাবু, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রানী শীল, ড. তানজীর মান্নান রূপন, অনলাইন এক্টিভিস্ট এএসএম শরিফুল হাসান, চারুশিল্পী ইফতেখার খান বনি, সমাজকর্মী আলমগীর কবির, সমাজকর্মী মো. হেলালউদ্দিন, সমাজকর্মী সুমনা লতিফ, সংস্কৃতিকর্মী শামস রশীদ জয়, ডা. সাদমান সৌমিক সরকার, আবৃত্তিশিল্পী আরেফিন অমল, মানবাধিকারকর্মী ফয়সাল হাসান তানভীর, সমাজকর্মী প্রাণতোষ তালুকদার, সমাজকর্মী আবদুল হালিম বিপ্লব, সমাজকর্মী কাজী রেহান সোবহান, সমাজকর্মী মো. আবদুল্লাহ, অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক, সাংবাদিক দীলিপ মজুমদার, সংস্কৃতিকর্মী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।