সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। সরকারের এ পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সংগঠনটির সভপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, ধর্ষণের সঙ্গে সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও সাম্প্রতিক রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ কালোরাতের গণহত্যা ও ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী নিধনের নেতৃত্বদানকারী এবং ৩০ লাখ শহিদদের রক্তস্নাত দুই থেকে ছয় লাখ নারীর সম্ভ্রম ও অত্যাচারের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরোধিতাকারী সংগঠন হলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির (তৎকালীন ছাত্র সংঘ)। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশেও তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজপথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হত্যার বহু ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। তবে এটিই যথেষ্ট নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি রাষ্ট্রের সব পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।