আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জামিন পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
দুই সদস্যের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ শুক্রবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের দুই সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছেন। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেফতারকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ ঘোষণার পরদিন হাইকোর্টের এই আদেশ এল।
স্থানীয় সময় আজ বেলা একটার দিকে দুই সদস্যের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়। শুনানি শুরুর কিছুক্ষণ পরই জুমার নামাজের বিরতিতে যান আদালত। স্থানীয় সময় বেলা ২টা ৩০ মিনিটে আবার শুনানি শুরু হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাইকোর্টে হাজির হন ইমরান।
জুমার নামাজের পর যখন আদালতে পুনরায় শুনানি শুরু হয়, সে সময় ইমরান খানও আদালতকক্ষে উপস্থিত ছিলেন। ইমরানের আইনজীবী খাওয়াজা হারিস আদালতে বলেন, এ মামলায় জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো—ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) তৎপরতা আইনসিদ্ধ ছিল না। তিনি বলেন, এনএবি তখনই কারও বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে, যখন তদন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানে রূপ নেয়। সেখানে এনএবির ইমরান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানতে পেরেছেন তাঁরা।
আইনজীবী খাওয়াজা হারিস আরো বলেন, ৯ মে এ–বিষয়ক এনএবির তদন্তের প্রতিবেদন পেতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে এসেছিলেন ইমরান খান। কিন্তু আদালতকক্ষে ঢোকার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ইমরান খানকে গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার করা হয়। আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় তাঁকে গ্রেফতার করে এনএবি। পরদিন বুধবার বিশেষ আদালত (অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্ট) এ মামলায় ইমরান খানকে আট দিনের রিমান্ড দেন।
অপর দিকে ইমরান খানকে গ্রেফতারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে পিটিআই। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানের গ্রেফতার বেআইনি ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
সূত্র : ডন