বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দীন খানের বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন। আটকের ২৬ দিন পর হাইকোর্ট থেকে তারা জামিন পেলেন। এর আগে নিম্ন আদালতে চার দফা তাদের জামিন আবেদন নাকচ হয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি জানান, এ আদেশের পর তাদের কারামুক্তিতে আর বাধা নেই। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে আরও ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জামান মনির।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না সে বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন আদালত।
এর আগে জামিন চেয়ে আইনজীবীদের মাধ্যমে গতকাল হাইকোর্টে পৃথক দুইটি আবেদন জমা দেন তারা। পরে আজ শুনানি শেষে আদালত ৬ মাসের জন্য তাদের জামিন দেন।
এর আগে ৪ বার মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর করেন এ মামলায় সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালত।
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনার পর গত ৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পরদিন বিএনপি ও দলের অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের ১ দিন আগে ৯ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করলে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের ওপর হামলায় দলীয় নেতাকর্মীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির এই ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।