ভিন্ন দেশ থেকে প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুঁটে আসার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে নতুন আরেকটি দেশ ও আরেকটি তরুণী। এবার জার্মানী থেকে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে ছুঁটে এসেছেন এক সুন্দরী। তাদের বিয়েও সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়েও সম্পন্ন হয়। জার্মানির ওই তরুণীর নাম জেনিফার স্ট্রায়াস। তার প্রেমিক গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুড়ো গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ও ঝর্ণা বেগম দম্পতির ছেলে চয়ন ইসলাম।
জানা গেছে জেনিফার স্ট্রায়াস জার্মানির বাইলেফেল্ড স্টেটের বাসিন্দা জোসেফ স্ট্রায়াস ও এসাবেলা স্ট্রয়াস দম্পতির একমাত্র মেয়ে।
পরিবার সূত্র জানিয়েছে, ছয় বছর আগে ইতালি যান চয়ন। কিছু দিন পর সেখান থেকে তিনি চলে যান জার্মানিতে। পাঁচ বছর আগে সেখানে একটি ভাষার কোর্সে ভর্তি হলে জেনিফারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আর সেই পরিচয় থেকেই শুরু হয় তাদের প্রেম। দীর্ঘ চার বছর প্রেমের পর ২০২২ সালের ১০ মার্চ চয়ন বাংলাদেশে চলে আসেন। কিন্তু তাতে জেনিফার ও চয়নের সম্পর্কে ফাটল ধরেনি। ভালোবাসার টানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে জেনিফার ছুটে এসেছেন প্রেমিক চয়নের কাছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নামেন জেনিফার। সেখানে চয়ন ও তার স্বজনরা তাকে স্বাগত জানান। রাতেই তারা জেনিফারকে সঙ্গে নিয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে আসেন। পরে রবিবার গোপালগঞ্জের একটি আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়।
জেনিফারের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছেন বাবা জোসেফ ট্রায়াস। কিছু দিন পর জেনিফার বাবা বাংলাদেশ আসবেন এবং ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে জানা গেছে।
চয়ন ইসলাম জানান, জেনিফারকে পেয়ে আমি খুব ভাগ্যবান। সে আমার জন্য এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। আমাকে বিয়ে করেছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
জেনিফার জানান, বাংলাদেশে এসে খুশি হয়েছি। এখানকার পরিবেশ, আতিথেয়তা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। আমি ভীষণ খুশি।