নওগাঁর সদর উপজেলার চুনিয়াগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুয়া সনদে ১০ বছর ধরে চাকরি করছেন শিক্ষক মামুনুর রশিদ। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। সম্প্রতি তার নিবন্ধন সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান।
জানা গেছে, যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৬ জন্য শিক্ষকের সনদ এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়। যাচাইয়ে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদের নিবন্ধন সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। সনদটি জাল বলে যাচাই প্রতিবেদন দিয়েছে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সনদ যাচাই প্রতিবেদন দেয়। এতে বলা হয়, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদের প্রকৃত মালিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন। শিক্ষক মামুনুর রশিদের যে সনদটি যাচাইয়ে পাঠানো হয়েছে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয় প্রধান শিক্ষককে।
সম্পূর্ণ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া সনদে মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মে সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ লাভ করেন। এরপর ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর তিনি এমপিওভুক্ত হন। এমপিওভুক্তির পর থেকে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে অবৈধপন্থায় তিনি সরকারি আর্থিক সুবিধা ভোগ করছিলেন। এপর্যন্ত তিনি প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে উত্তোলন করে ভোগ করেছেন।
এ বিষয়ে চুনিয়াগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদের নিবন্ধন সনদ ভুয়া সে বিষয়টি এনটিআরসিএর যাচাই রিপোর্টের মাধ্যমে জানতে পারি। জালনিবন্ধন সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নওগাঁ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চুনিয়াগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর আলম অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।