সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে আল-হেলাল নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের লালুয়ামাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। মো. আল-হেলালের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ এনটিআরসিএতে পাঠিয়েছেন তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ধাপতেতুলিয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. আল-হেলাল জালিয়াতির মাধ্যমে গত ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জুলাই লালুয়ামাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর থেকে তিনি চাকরি করছেন। কিন্ত এনটিআরসিএর নিদের্শনা অনুযায়ী শিক্ষক নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে সার্টিফিকেট জালিয়াতি ধরা পড়ে।
তার ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সনদের রোল নম্বরে চেক করা হলে গোলাম রাব্বানী নামে আরেকজন প্রার্থীর নাম চলে আসে। এতে তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করার হলে শিক্ষক আল হেলালের সনদ জাল ও ভুয়া বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
লালুয়ামাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আল-হেলালের শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট জাল। তার বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষক আল-হেলাল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমিতো ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে পরীক্ষায় পাস করেছিলাম। শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট তো আমারই।
তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, লালুয়ামাঝিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মো. আল-হেলালের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেট জালিয়াতি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এনটিআরসিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। এখন তারা জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে, অভিযোগ উঠেছে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।