ঝিনাইদহে ১৪ জন শিক্ষক জাল সনদে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী সচিব সেলিম শিকদারের স্বাক্ষরিত এক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর যাচাইবাছাই করে সারাদেশে ৬৭৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর জাল সনদ শনাক্ত করেছে। এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সনদ প্রদানকারী দপ্তর প্রধান প্রতিনিধি সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সনদের সত্যতা যাচাইপূর্বক ৬৭৮ জনের জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
৬৭৮ জনের জাল সনদের মধ্যে ঝিনাইদহে ১৪ জন শিক্ষকদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে, কোটচাঁদপুর এস.ডি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক (কম্পিউটার) শাহানা পারভীন হীরা, হরিণাকুন্ডু পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক মইন উদ্দিন, ঝিনাইদহের হাজী আশরাফ আলী কলেজের প্রভাষক রাশেদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ শিশুকুঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্ম) তপন কুমার বিশ্বাস, ঝিনাইদহের ডেফলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মামুন অর রশিদ, কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজ) হাজেরা খাতুন, কালীগঞ্জ উপজেলার শহীদ নূর আলী কলেজের শিক্ষক (সাচিবিক বিদ্যা) রফিকুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর উপজেলার বহরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) মাহফুজা খানম, বহরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) শামিমা আক্তার, ঝিনাইদহের বাসুদেবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলার শহীদ নুর আলী কলেজের প্রদর্শক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) শামছুল হক, ঝিনাইদহের লালন একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) রাজিয়া খাতুন ও গুড়দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মোস্তাফিজুর রহমান।
বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তাদের এমপিও বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা লাখ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। এছাড়াও জাল সনদধারী যেসব শিক্ষক অবসরে গেছেন তাদের অবসর সুবিধা বাতিল করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। যারা সেচ্ছায় অবসরে গেছেন বা চাকরি ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের টাকা অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে বলা হয়েছে। আর জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরকে বলেছে মন্ত্রণালয়।