জাল সনদধারী শিক্ষক কারাগারে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি |

ভুয়া নিবন্ধন দিয়ে শিক্ষকতা ও এমপিওর টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরার বড়দল আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক শিবপদ সানাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার খুলনা মহানগর দায়রা জজ বিশেষ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান জানান, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা মহিলা ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অনিত ব্যানার্জী আদালতে শিবপদ সানার বিরুদ্ধে জাল নিববন্ধন তৈরি ও উৎকোচের বিনিময়ে চাকরি গ্রহণের অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে দুদক ঘটনার তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাওন মিয়া বাদি হয়ে মামলা করেন।

তিনি জানান, শিক্ষক নিবন্ধন না থাকায় জাল নিবন্ধন দিয়ে শিবপদ সাহা ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে অনার্স পাসের ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরে মাস্টার্স পাস করার পর ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে একই প্রতিষ্ঠানে তাকে পুনরায় নিয়োগ দেখানো হয়।

জানা গেছে, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগসাজসে শিবপদ সাহা ওই প্রতিষ্ঠানে ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে প্রভাষক হিসেবে চাকরি করছেন।

জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট শাখার সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ওই শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ যে জাল তা আগেই যাচাইয়ে এসেছিলো। পরে এনটিআরসিএ তার বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মামলা করছিলেন না। পরে তার বিরুদ্ধে দুদুকে অভিযোগ গেলে দুদুক সনদটি ফের যাচাই করতে এনটিআরসিএতে পাঠায়। এনটিআরসিএ থেকে সনদটি জাল পাওয়ার বিষয়টি দুদককে জানানো হয়। পরে দুদক মামলা করে। জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হলো। এতে আমরা খুশি।  

জানা গেছে, শিক্ষক শিবপদ সানা তালা উপজেলার মেশারডাঙ্গা গ্রামের মৃত. করুণাময় সানার ছেলে। তিনি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার দু’টি জাল সনদ দিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে পার্শ্ববর্তী আশাশুনির বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ মার্চ শিবপদ সানার সনদগুলো জাল বলে যাচাই প্রতিবেদন দেয় এনটিআরসিএ। শিক্ষক শিবপদ সানার শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পাসের প্রথম সনদটি চতুর্থ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার। কিন্তু এই সনদটির প্রকৃত শিক্ষার্থী এমডি জিয়াউর রহমান নামের এক প্রার্থী। দ্বিতীয় সনদটি প্রথম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার। কিন্তু এই সনদটিও জাল ও ভুয়া এবং প্রকৃত সনদধারীর নাম তানমীম ইয়াসমীন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022380352020264