দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: বিএড-এর জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতা করছিলেন মো. মিজানুর রহমান। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আফজল আজাদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জাল সনদ নিয়ে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পান তিনি। কিন্তু অবশেষে শেষ রক্ষা হয়নি। নিয়োগ পাওয়ার প্রায় ৮ বছর পর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাল সনদ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি খোয়া যাচ্ছে তার।
সম্প্রতি এই সহকারী প্রধান শিক্ষকের এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিলের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা আশা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের দপ্তরে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, এমপিও বাতিল হওয়া ওই শিক্ষক ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে নানাভাবে বিতর্কিত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন বলে উল্লেখ করে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে চাকরিতে যোগদান করেন।
পরে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে মো. মিজানুর রহমানের জাল বিএড সনদ ও নিয়োগে অনিয়মসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি অভিযোগ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক, লক্ষ্মীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার ও রামগতি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
পরে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রধান শিক্ষক ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড ডিগ্রি অর্জন করার কথা
উল্লেখ করলেও ২০২০ খি্রষ্টাব্দের মে মাসে এমপিওভুক্ত করার জন্য অনলাইনে দাখিল করা আবেদনে দেখা যায় বিএড সনদপত্রটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করা। যার প্রেক্ষিতে মিজানুর রহমানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মূলত বিএড পাস করেন ২০২০ সেশনে।এর আগে এতো বছর তিনি জাল সনদ ব্যবহার করে তিনি শিক্ষকতা করছিলেন। পরে জাল সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য তাকে কারণ দর্শানো হলে, তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর ১৮.১.৩ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী এমপিও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তার এমপিও বন্ধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে এবং এই এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিলের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা আশা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের দপ্তরে পাঠিয়েছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।