নওগাঁর রাণীনগরের মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগে শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুন (৪৪) এর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তিনি ১৩ বছর ধরে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসাবে চাকরি করে আসছিলেন।
সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) দেয়া নির্দেশে গত মঙ্গলবার রাতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জল কুমার সরকার বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের পাস করা একটি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে মোছা. ময়না খাতুন সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসাবে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ নিয়ে মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছেন। উত্তোলন করে যাচ্ছেন সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা। এনিয়ে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগে দৈনিক আমাদের বার্তাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নজরে আসে ।
আরো পড়ুন: জাল সনদে শিক্ষকের একযুগ চাকরির অভিযোগ
এরপর নিয়োগের সময় ওই শিক্ষকের জমা দেয়া রোল নম্বর-৫১০১০০৫১ এবং নিবন্ধন নম্বর-৭০০৬০৮১ এর শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠান। তার সনদ যাচায়ের পর এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ মোছা. ময়না খাতুনের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয় এবং জাল ও ভুয়া বলে ১১ জুলাই প্রতিবেদন দেয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরপূর্বক অফিসকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি এ পর্যন্ত অবৈধভাবে চাকরি করে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা হিসাবে প্রায় ২৩ লাখ টাকা প্রতারণামূলক ভাবে আত্মসাৎ করেছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জল কুমার সরকার বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তারিকুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে ৪৬৮,৪৭১ ও ৪২০ ধারায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।