জাল সনদে চাকরি : ধরা পড়লেন সরকারিকৃত কলেজের আরও দুই শিক্ষক!

নওগাঁ প্রতিনিধি |

নওগাঁর নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক মো. এরশাদ আলী ও সরোজ কুমার দাস জাল সনদে চাকরি করছেন। জাল সনদে প্রতিষ্ঠানটির বেসরকারি আমলে চাকরি নিলেও সম্প্রতি কলেজটি সরকারি হলে জাল সনদের বিষয়টি ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি প্রভাষক মো. এরশাদ আলী ও সরোজ কুমার দাসের সনদটি জাল বলে যাচাই প্রতিবেদন দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। একই সাথে জাল সনদধারী এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।

জানা গেছে, জাল সনদধারী দুই শিক্ষক ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তারা নিয়মিত এমপিওভোগ করতেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে ২৭১টি কলেজের সাথে এ নিয়ামতপুর কলেজটি সরকারি হয়। এরপর আত্তীকরণের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই দুইজন প্রভাষকের সনদটি যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের সনদ যাচাই করে প্রতিবেদন দিয়েছে এনটিআরসিএ।   

এনটিআরসিএ সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহম্মেদের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে সনদটি ব্যবহার করে প্রভাষক মো: এরশাদ আলী যে সনদটি দাখিল করে চাকরি নিয়েছেন তার প্রকৃত মালিক মো. আবদুল খালেক। তার সনদটি জাল করে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। অপর দিকে প্রভাষক সরোজ কুমার দাস  যে সনদটি দিয়ে চাকরি নিয়েছেন তা আবদুস সাত্তার নামের অপর এক প্রার্থীর। পলিটিক্যাল সায়েন্সের প্রভাষক হলেও সরোজ কুমার বাংলা বিষয়ে সহকারী শিক্ষকের জন্য দেয়া একটি সনদ দিয়েই কলেজে নিয়োগ পেয়েছিলেন। দুই শিক্ষকই নিয়মিত এমপিওভোগ করতেন। এনটিআরসিএর দেয়া সনদ যাচাই প্রতিবেদনে, জাল ও ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় মামলা রুজু করতে নিয়ামতপুর সরকারি  কলেজের উপাধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন : জাল নিবন্ধন সনদে শিক্ষকতা, সরকারিকরণের পর ধরা

এ বিষয়ে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মো. মমতাজ হোসেন দৈনিক শিক্ষাকে জানান, আমরা এখনো বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষর চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি পেলে নির্দেশমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাল সনদ দিয়ে  কিভাবে এই দুইজন প্রভাষককে নিয়োগ দিলেন? দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওই জাল সনদধারী দুইজন ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ এপ্রিল নিয়োগ নিয়েছেন আর আমি দায়িত্ব পেয়েছি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি। তাদের নিয়োগের সময় যে প্রিন্সিপাল দায়িত্বে ছিলেন তিনি মারা গিয়েছেন। তাই এ নিয়োগের ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিনা।

এ নিয়োগ ও জালসনদ পাওয়ার ব্যপারে জানতে চাইলে প্রভাষক সরোজ কুমার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি অসুস্থ। অপারেশন হয়েছে। এখন কথা বলতে পারছি না। 

অপরদিকে জাসনদধারী শিক্ষক মো. এরশাদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার বৃথা চেষ্টা করেন। কোন সদুত্তর দিতে পারেননি জাল সনদে চাকরি নেয়া এ প্রভাষক। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত - dainik shiksha ফল জালিয়াতি: পদে রেখেই সচিবের বিরুদ্ধে তদন্ত শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল - dainik shiksha শিক্ষক-কর্মচারী বদলি নীতিমালার কর্মশালা কাল দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha দুবাইয়ে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে - dainik shiksha ৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন করবেন যেভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল - dainik shiksha ফিলিস্তিনকে সমর্থনের ‘অভিযোগে’ সেরা ছাত্রীর বক্তৃতা বাতিল মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022740364074707