বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের একটি মাদরাসার এক কর্মচারী জাল সনদে নিয়োগ নিয়ে চাকরি করে আসছেন বলে অভিযোগে রয়েছে। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উপজেলার ভাষানচর নেছারিয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. শাহীনকে অধিদপ্তর তলব করেছে। সম্প্রতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
সরকারি সূত্রে জানা যায়, মাদরাসাটির সহকারী লাইব্রেরিয়ান শাহীন সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এই অভিযোগ যাচাই করে দেখতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইনের কাছে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা।
অপরদিকে, ফরিদপুরের এক মাদরাসা কর্মচারী তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন পদবি দেখিয়ে বেতন তুলেছেন। এই অভিযোগে তাকেও তলব করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযুক্ত কর্মচারী আব্দুল করিম শেখ সদর উপজেলার মুসলিম মিশন দাখিল মাদরাসায় কর্মরত।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর সদর উপজেলার ‘ফরিদপুর মুসলিম মিশন দাখিল মাদরাসায়’ কর্মরত কর্মচারী আব্দুল করিম শেখ একই সময়ে ভিন্ন-ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন এবং বেতন ও উৎসব ভাতা গ্রহণ করেছেন বলে একটি অভিযোগ মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে দাখিল করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আজ ১৩ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বলা হলো।