জাল সনদে চাকরির অভিযোগ ওঠায় চাকরি ছেড়ে পালিয়েছেন রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ভাসান্যা আদম ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আলিম। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সায়েন্স ডিপ্লোমা পাসের ‘জাল’ সনদ দিয়ে চাকরি করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগ ওঠার পর প্রতিষ্ঠান প্রধান তার কাছে সনদের কপি চাইলে তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ভাসান্যা আদম ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সুফিয়ান খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, চাকরি ছেড়ে পালানো শিক্ষক মো. আব্দুল আলিম নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার পাতাড়ী ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর গ্রামের মো. আব্দুল রশিদের ছেলে।
প্রতিষ্ঠান সূত্র ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আব্দুল আলিম ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করেন। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, তিনি যে লাইব্রেরি সায়েন্স ও তথ্যবিজ্ঞান ডিপ্লোমার সনদ ব্যবহার করে চাকরি করছেন তা ভুয়া। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কৌশলে সে অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে গত ২৯ ডিসেম্বর চাকরি থেকে ইস্তফাপত্র প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেন।
জানতে চাইলে ভাসান্যা আদম ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সুফিয়ান খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আব্দুল আলিমের ডিপ্লোমা সনদের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তার সনদটি জাল বলে অভিযোগ উঠলে এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। তবে, তিনি এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি। চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন। কয়েকদিন পর মিটিং করে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ও সে অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাকরি ছেড়ে পালানো শিক্ষক মো. আব্দুল আলিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।