গাজীপুরের শ্রীপুরে জাল সনদে এক যুগ শিক্ষকতা করার অভিযোগ ওঠা জোবায়ের হোসেন আদিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জরুরি সভা করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। সভায় আদিলের করা ছুটির আবেদন বাতিল করে জাল সনদের বিষয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ধামলই উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ আলম। অভিযুক্ত জোবায়ের হোসেন আদিল উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ধামলই উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওমর ফারুক পালোয়ান বলেন, জাল সনদপত্রে চাকরির বিষয়টি নিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমে সংবাদ প্রকাশিত হলে নজরে আসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। ধামলই উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, জরুরি সভায় ওই শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি তাঁর করা এক মাসের ছুটির আবেদন বাতিল করে জাল সনদপত্রের বিষয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল বলেন, ‘ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।’