জাল সনদেই সরকারকে হাইকোর্ট, নয় শিক্ষক অবশেষে ধরা

সাবিহা সুমি, দৈনিক শিক্ষাডটকম |

সাবিহা সুমি, দৈনিক শিক্ষাডটকম: তারা নয় জনই জাল সনদ দিয়ে শিক্ষক পদে চাকরি বাগিয়েছিলেন। সরকারি কোষাগার থেকে এমপিও ভোগও করেছেন কয়েকবছর। কিন্তু ধরা পড়েন সরকারিকরণের প্রক্রিয়ায়। তবুও ক্ষান্ত হননি তারা। উল্টো সরকারকে হাইকোর্ট দেখিয়ে আরো চার বছর বাড়তি এমপিও ভোগ করেছেন। অবশেষে হাইকোর্ট বলে দিয়েছে, তাদের বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে। 

শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদধারী এই নয়জন শিক্ষকই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজের। সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিলো ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে। সরকারের ওই উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ করে তারা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। 

গত ৫ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসা: রোকেয়া পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, তারা তঞ্চকতার আশ্রয় নিয়েছেন যা ফৌজদারি অপরাধ, তাই তাদেরকে বরখাস্ত করে হাইকোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হবে।  

জাল সনদধারী প্রভাষকরা হলেন- সুরাইয়া বেগম, দিল রওশন আরা,  মো. জিল্লুর রহমান, হুরুন্নাহার খাতুন, হাসিনা আকতার, শহীদ বদরুদ্দোজা,  ফারহানা খাতুন, মোছা: আয়েশা প্রধান দিপ্তি ও কেয়া শারমিন। 

দৈনিক আামদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারি হওয়া ১৯৯টি কলেজের সাথে সরকারি হয় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শাহ আব্দুর রউফ কলেজ। এই শিক্ষকদের আত্তীকরণের কাজ চলাকালীন নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়। সনদগুলো যাচাই করে সবগুলোই জাল বলে প্রমাণ পায় এনটিআরসিএ।

আরো জানা যায়, সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক সুরাইয়া বেগমের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটির প্রকৃত মালিক রুজিনা আক্তার নামে এক প্রার্থী।  ব্যবস্থাপনার প্রভাষক মো. জিল্লুর রহমান যে রোল নম্বর ব্যবহার করে জাল সনদটি তৈরি করেছেন তা প্রভাষক পদের নয়, একটি কারিগরি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদের। ৮ম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে জাল সনদটি তৈরি করা হলেও ফলাফলের তালিকায় সেটির কোনো রেকর্ড নেই।

প্রভাষক হুরুন্নাহার খাতুন ১০ম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে জাল সনদটি তৈরি করলেও ফলাফলের তালিকায় সেটির কোনো অস্তিত্ব নেই। এমনকি যে রোল নাম্বার ব্যবহার করে জাল সনদটি তৈরি করা হয়েছে সেটিও প্রভাষক পদের নয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হাসিনা আকতারের সনদপত্রটির প্রকৃত মালিক জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন। একই বিষয়ের প্রভাষক শহীদ বদরুদ্দোজা ৩য় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দাবি করে সনদটি জাল করলেও ফলাফলে সেটিরও কোনো অস্তিত্বই নেই।

ইতিহাস বিষয়ের তিন প্রভাষক ফারহানা খাতুন, আয়েশা প্রধান দিপ্তি ও কেয়া শারমিন ৯ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দাবি করে সনদগুলো জাল করলেও  ফলাফলে সেগুলোরও কোনো অস্তিত্ব পায়নি এনটিআরসিএ। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
 

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল   SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032260417938232