জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন স্বর্ণপদক’ চালু

জাবি প্রতিনিধি |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছাত্র ও ছাত্রী চ্যাম্পিয়নকে প্রদানের লক্ষ্যে ‘প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন স্বর্ণপদক’ চালু করা হয়েছে। প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী। তিনি মুক্তিযুদ্ধ উত্তর স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম ব্যাচের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিভিন্ন খেলায় দক্ষতা ও পারদর্শীতার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলায় সর্বোচ্চ খেতাব ‘ব্লু’ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে হাফিজা খাতুন অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার আনা, ঔষধ সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসা, বার্তা আদান-প্রদান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা ইত্যাদি কাজে জড়িত ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ড. হাফিজা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানকারী শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাচিত সহ-সভাপতি।

বর্তমানে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ছাত্র ও ছাত্রী চ্যাম্পিয়নকে স্বর্ণপদক প্রদানের লক্ষ্যে ১০ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। খেলাধুলার প্রতি ভীষণ অনুরাগী প্রফেসর ড. হাফিজা খাতুনের কাছ থেকে চেক গ্রহণকালে উপাচার্য বলেন, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াবিদরা অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ পাবেন। তারা ক্রীড়া নৈপুণ্যে আরও মনোযোগী হবেন।  

তিনি স্বর্ণপদক চালু করতে এগিয়ে আসায় ড. হাফিজা খাতুনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন তাঁর বক্তব্যে বলেন, খেলাধুলায় স্বর্ণপদক চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতিতে তিনি আনন্দিত। তিনি বিশ্বাস করেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে তৈরি করেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিকশিত হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি হৃদয়ে ধারণ করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ  বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজন হওয়াকে তিনি সৌভাগ্য ও দায়িত্ব মনে করেন।  

উপাচার্য অফিসে সকাল নয়টায় চেক হস্তান্তরকালে অন্যান্যের মধ্যে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক, রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহেদুর রশিদ, অধ্যাপক ড. খন্দকার হাসান মাহমুদ, ড. হাফিজা খাতুনের বড় ভাই আবুল হাসান মাসুদ, ছোট ভাই  আবু মনজুর মোরশেদ এবং ভাতিজা আবু ফায়েজ মওদুদুল কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বেগম নাছরীন, উপ-পরিচালক মো. আজমল আমীন, প্রাক্তন পরিচালক মো. সিফাতুল্লাহ, হাবিবা ইয়াসমীন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি) এ বি এম আজিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঢাবি-জাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখ প্রকাশ - dainik shiksha ঢাবি-জাবিতে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখ প্রকাশ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স নিয়ে যা বললেন সারজিস - dainik shiksha সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স নিয়ে যা বললেন সারজিস পিটিয়ে হত্যার আগে সেই ব্যক্তিকে ভাত খেতে দিয়েছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha পিটিয়ে হত্যার আগে সেই ব্যক্তিকে ভাত খেতে দিয়েছিলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণির বিষয়-গ্রুপ পরিবর্তনের সময় বাড়লো - dainik shiksha দ্বাদশ শ্রেণির বিষয়-গ্রুপ পরিবর্তনের সময় বাড়লো ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা - dainik shiksha ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার প্রস্তাব - dainik shiksha সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার প্রস্তাব দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060689449310303