বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজের এক শিক্ষার্থী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবে এই দাবি জানান পিসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী।
সরকারি পিসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার ইয়াছির আরাফাত নোমান ও তার অনুসারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌসীর শাশুড়ি বাগেরহাট শহরের দশানী ক্রস রোড এলাকার বাসিন্দা রেহেনা চৌধুরী। জান্নাতুল ছাত্রলীগ নেতা হাসান চৌধুরী নয়নের স্ত্রী। হাসান চৌধুরী নয়ন সরকারি পিসি কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, '২৯ ডিসেম্বর বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আমার পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে স্বামী নয়নের সঙ্গে রিকশায় এসএসসি ও এইচএসসির সনদ নিতে সরকারি পিসি কলেজে যাই। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা নোমানের অনুসারী আবদুর রহমান শাহ, কাওসার, ইকবালসহ কয়েকজন আমাদের রিকশা আটকায়। তারা আমাকে গালিগালাজ করে। আমার বোরখা টেনে ছিঁড়ে ফেলে। নোমান ও তার লোকদের মারধরে আমার স্বামীর ডান পা ভেঙে গেছে।'
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'আমরা এক ধরনের নজরদারির মধ্যে আছি। ঘটনা চেপে যাওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।'
আহত ছাত্রলীগ নেতা হাসান চৌধুরী নয়নের মা রেহেনা চৌধুরী বলেন, 'আমার একটা মাত্র ছেলে। আমার ছেলের জীবন এখন সংকটে। আপনারা আমার ছেলেকে বাঁচান।'
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সরদার ইয়াছির আরাফাত নোমান বলেন, 'পিসি কলেজে বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল নয়ন। এ কারণে শিক্ষার্থীরা তাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়। এখন সে আবার কলেজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। তাই কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।'
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, 'জান্নাতুল ফেরদৌসীর অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।'