ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদ্য নিবার্চিত সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি নিবার্চিত হবার পর রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রথমবারের মত নিজ জেলা কুড়িগ্রামের এসে শহীদ মিনারে নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। এসময় কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ঘোষপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠার ছবি নিজ ফেসবুক পেজে প্রকাশও করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়েছে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে। একই সঙ্গে জনমনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকে। তার নিজ নামের (বিন ইয়ামিন মোল্লা) ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে দেখা যায় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ফুল নিয়ে দাড়িয়ে আছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ ধরণের অপরাধ অমার্জনীয়। দেশের প্রতি ভালবাসা, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে এরকমই হয়। যাদের ভিতর দেশ প্রেম নেই তারা কিভাবে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকালে বিন ইয়ামিন মোল্লা নাগেশ্বরীর নেওয়াশিতে তার নিজ এলাকায় একটি সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় কুড়িগ্রাম ঘোষপাড়ায় আগে থেকে অবস্থানরত নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। এসময় জুতা পায়ে নেতা-কর্মীসহ শহীদ মিনারে উঠে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাকিবুজ্জামান রাকিব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ বিন ইয়ামিন ছাত্রদের নেতৃত্ব দিতে চান। কিন্তু ছাত্রদের বুকের রক্তে আঁকা শহীদ মিনার কী করে পদদলিত করলেন?’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বিন ইয়ামিনসহ সহযোগীদের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার অবমাননার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘বিন ইয়ামিনদের শহীদ মিনারের অবমাননা পরিকল্পিত। ভাষা শহীদদের এভাবে অবজ্ঞা মেনে নেওয়া যায়না।’
একই দাবি জানিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও জেলা ক্রীড়াসংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাঈদ হাসান লোবান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘শহীদ মিনার আমাদের ভাষা সংগ্রাম ও চেতনার প্রতীক। এই শহীদ মিনার অবমানননা মানে জাতিকে অপমান করা। এদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ’।
অভিযোগের বিষয়ে বিন ইয়ামিন মোল্লা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘শহীদ মিনারের বেদি বা সিঁড়িতে আমরা জুতা পায়ে উঠিনি। মূল মঞ্চে উঠেছি। ঢাকা শহীদ মিনারের মঞ্চেও অনেকে জুতা পায়ে ওঠে। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।’