পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল আজ মঙ্গলবার জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের দেখতে তাদের বাড়িতে যান। তাদের পরিবারের খোঁজখবর এবং তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এসময় উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান ছিলেন।
প্রথমে তিনি শহীদ জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে যান, তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। জাহিদুলের পরিবারের সঙ্গে উপাচার্য আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তার পরিবারকে শান্তনা ও সমবেদনা জানান। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ এবং কোনেকিছু করার বিষয়ে তাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে তিনি জাহিদুলের কবর জিয়ারত করেন। তিনি ৪ আগস্ট শহীদ হন। জাহিদুল পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে।
এরপর তিনি শহীদ জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে যান এবং তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তার পরিবারের জন্য ভবিষ্যতে ভালোকিছু করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। জাহাঙ্গীর একজন ট্রাক চালক। তার বাড়ি ভাঁড়ারা ইউনিয়নে। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিহত হন। পরে উপাচার্য জাহাঙ্গীরের কবর জিয়ারত করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএস আব্দুল আওয়াল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আরাফাতের বাড়িতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তার আন্দোলনে যোগ দেওয়া নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আরাফাত একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। ছাত্র আন্দোলনে বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে ঢাকার গুলশানের নতুন বাজারে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার বয়স ২০ বছর।
উপাচার্যের সঙ্গে আরও ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মনজুরুল ইসলাম ও রোজিনা খাতুন।