মাঠ প্রশাসনে যথেচ্ছচারিতার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে সরকার। সম্প্রতি কয়েকজন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অপেশাদার আচরণে তৈরি হওয়া বিতর্ক গোচরীভূত হওয়ায় সরকারের শীর্ষ মহল নড়েচড়ে বসেছে। মাঠ প্রশাসনের কর্তাদের বিতর্কিত আচরণকে জনস্বার্থ বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের হাই কমান্ডের নির্দেশে নতুন বার্তা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৬৪ জেলা প্রশাসককে দেয়া এই নতুন বার্তায় ‘জনসেবায় প্রশাসন’ বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে গণমুখী আচরণ করতে বলা হয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে।
জনপ্রশাসনের দায়িত্বশীল সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছে, কোনো কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারি ও হঠকারি আচরণে সিভিল সার্ভিসের মর্যাদা ও ঐতিহ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনার মুখে পড়েছে। তাই সিভিল সার্ভিসের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। জনসেবার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে জুলাই মাসের প্রথম দিকেই নতুন ডিসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফিটলিস্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এছাড়া তিন জন বিভাগীয় কমিশনার প্রত্যাহার করে নতুন বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
দায়িত্বশীল সূত্র আরো জানিয়েছে, জনসেবায় চৌকস আমলাদেরই এবার ডিসিসহ মাঠ প্রশাসনের পদগুলোতে নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাদের নিয়োগের পর মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকালে সরকারের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী এবং জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত কর্মকর্তাদের সরিয়ে এনে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হতে পারে।